শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। (সিইসি) বলেছেন ,আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি।
জনগণ সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে এ অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে তিন হাজার ২০০ জনকে টিওটি দেওয়া হবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। কাজেই প্রস্তুতি প্রয়োজন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত করা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন।
নয় লাখের নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। এটি রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলবো বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদেরকে দেওয়া হবে। সিইসি বলেন, আমাদের সার্থকতা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারলে, এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে ক্রেডিবিলিটি। আমাদেরকে সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং এটি বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।
বিশেষ করে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ,যেখানে নির্বাচনগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে স্থিতু হয়েছে। ইসি প্রধান আরও জানান, জনগণ যেখানে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
আমি আপনাদের বলবো, প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহণ করবেন। কোনো রকম সংশয় রেখে এখান থেকে বিদায় নেবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন এমন মন্তব্য করে তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত হতে হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সবচেয়ে বড় নির্বাচন কমিশন। নয় লক্ষাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন।
ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলব বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদেরকে দেওয়া হবে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত তিন হাজার ২০০ প্রশিক্ষক তৈরির এ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৩০ নভেম্বর এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রশিক্ষকরা আগামী ডিসেম্বরের দিকে প্রায় দশ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। ইতোমধ্যে সিইসি জানিয়েছেন,নভেম্বরের প্রথমার্থে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে। আর ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।